চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দেশের সবচেয়ে সুন্দর কয়েকটি স্থান | Shitakunda । Chittagong | Travel Vlog
ঢাকা থেকে বাস এবং ট্রেন ২ ভাবেই সীতাকুণ্ড যাওয়া যায় । সীতাকুণ্ড যেতে চাইলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গামী যেকোনো বাসে উঠে নামতে হবে সীতাকুণ্ড বাজার বাস স্ট্যান্ড ভাড়া নিবে ৪৮০ টাকা । যারা আমাদের মত খরচ সেভ করতে চান তারা ঢাকা থেকে ফেনী গামী স্টার লাইন অথবা এনা বাসে উঠতে পারেন । ঢাকা উত্তরা থেকে ভাড়া নিবে ৩০০ টাকা এবং সায়েদাবাদ থেকে ভাড়া নিবে ২৭০ টাকা । আর ফেনী মহিপাল থেকে চট্টগ্রাম গামী যেকোনো বাসে চড়ে সীতাকুণ্ড বাস স্ট্যান্ড যাওয়া যায় । আর মহিপাল থেকে সীতাকুণ্ড বাস স্ট্যান্ড বাস ভাড়া ৪০-৫০ টাকা যদি আপনি চট্টগ্রাম শহর থেকে আসেন, চট্টগ্রাম শহর এর অলংকার মোড় থেকে চয়েস বাস সীতাকুণ্ড বাস স্ট্যান্ড যায়। ভাড়া নেয় জন প্রতি ৮০ টাকা করে । ট্রেনে যেতে হলে আপনাকে রাত ১০:৩০ এর চট্টগ্রাম গামী মেইল ট্রেন ধরতে হবে ভাড়া নিবে ১২০ টাকা । ট্রেন থেকে সীতাকুণ্ড নামতে হবে, মেইল ট্রেনে সিট পাওয়া যায় না তাই আরামের কথা চিন্তা করলে রাতের তুরনা নিশিতা ট্রেনে করে ফেনী নামতে পারেন ভাড়া নিবে আনুমানিক ৩৫০ টাকা , ফেনী রেল ষ্টেশন থেকে মহিপাল রিক্সা ভাড়া ২৫ টাকা , আর মহিপাল থেকে সীতাকুণ্ড বাস স্ট্যান্ড বাস ভাড়া ৪০-৫০ টাকা ।
১. খৈয়াছড়া ট্রেইল :ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়েতে মীরসরাই বাজারের আগে বড়তাকিয়া বাজারে নামবেন। বড় তাকিয়া বাজারে খৈয়াছড়া হাইস্কুলের বিপরীত দিকের পূর্বদিকের রাস্তায় সিএনজি পাবেন , সিএনজি আপনাদের ঝর্নার জিরি পর্যন্ত নিয়ে যাবে, ভাড়া নিবে ২০ টাকা
২। নাপিত্তাছড়া ট্রেইল :ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে ন-দুয়ারীর হাট নামবেন । ন-দুয়ারী হাটের পূর্ব দিকের রাস্তা ধরে রেল লাইন পার হয়ে ২০ মিনিটের মত হাটলে নাপিত্তাছড়া ঝর্নার জিরি পেয়ে যাবেন।
৩। সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক সুপ্তধারা এবং সহস্রধারা ট্রেইল :ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে ইকো পার্কের গেইটে নামবেন । আপনারা যদি সিএনজি নিয়ে ইকো পার্কের ভিতরে ঘুরে আসতে চান তবে সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া নিবে প্রায় ৫০০ - ৬০০ টাকা ।
৪। সহস্রধারা - ২ ট্রেইলঃ ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়েতে ছোট দারোগারহাট বাস স্ট্যান্ড নামতে হবে । ছোট দারোগারহাট বাস স্ট্যান্ড থেকে সিএনজিতে ঝর্নার জিরির কাছাকাছি মাটির রাস্তা পর্যন্ত যেতে ভাড়া নিবে ২০ টাকা ।
৫। বড় কমলদহ ট্রেইলঃ ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে সীতাকুন্ডের বড় দারোগারহাট বাজারে নামতে হবে । এরপর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঢাকার দিকে ১০ মিনিট হেঁটে পূর্ব দিকের ইটের ভাঁটার পাশের রাস্তা ধরে ৩০ মিনিটের মত হাটলে পাহাড়ী জিরি পেয়ে যাবেন।
৬। ঝরঝরি ট্রেইলঃ ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে সীতাকুণ্ডের পন্থিছিলা বাস স্ট্যান্ডে নামতে হবে । এরপর পূর্ব দিকের রাস্তা ধরে কিছু দূর গেলে রেললাইন পাবেন , সেখানে রেললাইন ধরে হাতের বামে কিছু দূর গেলে হাতের ডানপাশে মাটির রাস্তা পাবেন । সে মাটির রাস্তা ধরে ৪০-৪৫ মিনিট মত হাটলে পাহাড়ী ঝর্নার ঝিরি পথ পেয়ে যাবেন। গাইডের মোবাইল নেই তার বাসার মোবাইল নাম্বার - 01891677689(ইলিয়াস)
৭। বাড়বকুণ্ড ট্রেইলঃ ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে সীতাকুণ্ড বাস স্ট্যান্ডের পরে বাড়বকুণ্ড বাজারে নামতে হবে। বাড়বকুণ্ড বাজারের পূর্ব দিকের রাস্তায় সিএনজি পাবেন , বাড়বকুণ্ড বাজারে হতে সিএনজিতে পাকা রাস্তার শেষে নামতে হবে ভাড়া নিবে জনপ্রতি ২০ টাকা । পাকা রাস্তার শেষে মাটির রাস্তা ধরে ৩০ মিনিট হাটলেই কালভৈরবী মন্দির পেয়ে যাবেন।
৮। হরিণমারা-হাটুভাঙ্গা ট্রেইল :ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে সীতাকুন্ডের আগে ছোট কমলদহ বাজার আর সেই বাজারের পরের রাস্তা আর বাইপাস রোড যেখানে মিলেছে সেখানে নামবেন। সেখান থেকে রাস্তায় পূর্বদিকে ঢুকতে হবে , এরপর এই রাস্তা ধরে এগুলেই পাবেন নীলাম্বর লেক ,এরপর লেকের পাড় ধরে হাটতে থাকলে কিছুক্ষণ পরে পাবেন একটি উঁচু পাহাড় , সেই পাহাড় পেরিয়ে ঝিরি যেখানটায় লেকে মিশেছে সেখান থেকে শুরু ঝিরিপথ ।
৯। বোয়ালিয়া ট্রেইল :ঢাকা থেকে গেলে মীরসরাই মূল বাজারে নামতে হবে , এবার পূর্বদিক গামী মীরসরাই কলেজ রোডে রাস্তার পূর্ব দিকে লোকাল সিএনজিতে করে জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে , নামতে হয় ব্র্যাক পোল্ট্রি ফিড কমপ্লেক্সের সামনে । সেখানে ঝর্নার ঝিরি পথ ধরে উত্তরদিকে হাঁটা শুরু করতে হয় ।
১০। সোনাইছড়ি ট্রেইল :সোনাইছড়ি ট্রেইলে যেতে হলে সীতাকুন্ডের আগে/মীরসরাই এর পরে হাদী ফকিরহাট বাজারে নামবেন। সেখান থেকে রাস্তায় পূর্বদিকে ঢুকতে হবে। হাদী ফকিরহাট বাজার হতে ঝর্নার জিরি পর্যন্ত জনপ্রতি লোকাল সিএনজি ভাড়া ১৫ টাকা নিবে। গাইড - ০১৮৩৪৯৭৫৮০০(সুমন)
১১। চন্দ্রনাথ পাহাড় :ঢাকা থেকে গেলে চট্টগ্রামগামী যে কোন বাসে সীতাকুন্ড বাজারে নেমে একটা সিএনজি নিলেই পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছিয়ে দিবে । লোকাল সিএনজিতে জনপ্রতি ১৫ টাকা ভাড়া নিবে ।
১৪। মহামায়া লেক :ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়েতে ঠাকুরদিঘী বাজারে এসে পূর্ব দিকের রাস্তা দিয়ে সিএনজি অটোরিক্সায় মহামায়া লেকে যেতে হয় ভাড়া নেয় জন প্রতি ২০ টাকা।
১৫ । বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতঃঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গামী যেকোন বাসে উঠে বাঁশবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড নেমে সিএনজি যোগে মাত্র ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে সরাসরি বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত যাওয়া যায় ।
১৬। গুলিয়াখালি সমুদ্র সৈকত:সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজিতে পশ্চিমে ৩ কিলোমিটার গেলেই এই বিচ। সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজি রিজার্ভ নিলে ভাড়া নিবে ১৫০ টাকা । আর লোকাল সিএনজি ভাড়া ২০ টাকা নিবে ।
১৬। কুমিরা সন্দীপ ঘাঁটঃঢাকা - চট্টগ্রাম হাইওয়েতে যেকোন বাসে ছোট কুমিরা এসে নামতে হবে সেখান থেকে সিএনজি যোগে চলে আসবেন কুমিরা ঘাট সিএনজি রিজার্ভ ভাড়া নিবে ১৫০ টাকা ।
১৭।ভাটিয়ারীলেক:চট্টগ্রাম অক্সিজেন মোড় থেকে লোকাল সিএনজি বা অটোতে চড়ে বড় দীঘির পাড় নামবেন, ভাড়া নিবে ১০ টাকা। সেখান থেকে চান্দের গাড়ি টাইপ লেগুনায় চড়ে ভাটিয়ারি যাবার পথে যেকোন স্থানে নেমে যেতে পারবেন, ভাড়া ২০ টাকা নিবে।
0 মন্তব্যসমূহ