ইতিহাস ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ নাটোর উত্তরবঙ্গের একটি গুরুত্তপূর্ণ জেলা । নাটোরে আছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিল চলন বিল। এছাড়াও আছে নাটোরের অহংকার ও ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ নাটোর রাজ বাড়ি। নাটোরের রাজবাড়ির ইতিহাস ও নাটোরের ঐতিহ্যের সাথে যেটি সম্পর্কযুক্ত সেটি হল দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী। নাটোর শহর থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে এক মনোরম পরিবেশে ৪১.৫১ একর জমির উপর দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী তথা উত্তরা গণভবন অবস্থিত।
রাজবাড়িতে প্রবেশের একমাত্র প্রবেশধার মুগ্ধতা এনে দেয় ।তিনতলা বা তিনটি স্তরে নির্মিত এই তরুণ টাওয়ার । অসাধারণ নির্মাণশৈলী আর পাথরের কারুকাজ করা প্রবেশদ্বারটি দাড়িয়ে আছে শতবছরের সাক্ষী হয়ে। মাজখানের জায়গাটিতে দেওয়া হয়েছে শত বছরের পুরনো একটি দেয়াল ঘড়ি। যা আজ ও টিক টিক করে ঠিক ঠিক সময় দিয়ে যাচ্ছে।এই ঘড়ির ঘণ্টার ধ্বনি প্রায় ১ কিলোমিটার দূর থেকে শোনা যায়।
নাটোর রাজপরিবারের জমিদার রানী ভবানী ছিলেন একজন স্বনামধন্য জমিদার। ivbx fevbxi ivRZ¡Kv‡j bv‡Uv‡ii Rwg`vix e¨vcK we¯Ívi jvf K‡i| A‡a©K e‡½i ivRZ¡ Ki‡Zb ivYx fevbx ZvB Zv‡K ej n‡Zv Aa©e‡½k^ix| রানী ভবানী তার নায়েব দয়ারামের উপর সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দিঘাপতিয়া পরগনা উপহার দেন।দয়ারাম রায় ১৭৩৪ সালে দিঘাপতিয়া রাজপ্রাসাদটি নির্মাণ করেন।১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পে দিঘাপতিয়া নাটোর রাজবাড়ী সহ অনেক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যায়।সে সময় দিঘাপতিয়ার রাজা প্রমদানাথ বর্তমান প্রাসাদটি নির্মাণ করেন.১৯৪৭ সালে তৎকালে পাকিস্থান সরকার জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত করলে ১৯৫২ সালে দিঘাপতিয়ার শেষ রাজা প্রতিভানাথ রায় সপরিবারে কলকাতায় চলে যায় ।১৯৬৬ সালে রাজপ্রাসাদটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্থান সরকারের নিয়ন্ত্রনে আসে।এবং ১৯৬৭ সালে গভর্নর হাউস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে এটিকে উত্তরা গনভবন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এই রাজবাড়িতে স্থাপনা বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ৪ টি অট্টালিকা আছে। এইগুলো হল প্রবেশ তরুন,প্রধান রাজপ্রাসাদ,কুমার প্যালেস ও খাদাঞ্ছিখানা।ইমারত গুলি নির্মাণে হয়েছে ইট ,চুনসুরকী,লোহা,কাঠ ,মার্বেল পাথর ইত্যাদি ব্যাবহৃত হয়েছে।
রাজবাড়িতে প্রবেশের একমাত্র প্রবেশধার মুগ্ধতা এনে দেয় ।তিনতলা বা তিনটি স্তরে নির্মিত এই তরুণ টাওয়ার । অসাধারণ নির্মাণশৈলী আর পাথরের কারুকাজ করা প্রবেশদ্বারটি দাড়িয়ে আছে শতবছরের সাক্ষী হয়ে। মাজখানের জায়গাটিতে দেওয়া হয়েছে শত বছরের পুরনো একটি দেয়াল ঘড়ি। যা আজ ও টিক টিক করে ঠিক ঠিক সময় দিয়ে যাচ্ছে।এই ঘড়ির ঘণ্টার ধ্বনি প্রায় ১ কিলোমিটার দূর থেকে শোনা যায়।
একতলা বিশিষ্ট সুবিশাল এই ভবনটি চারদিকে বারান্দা এবং কেন্দ্রীয় অব্যর্থনা হলঘর ও ডাইনিং হল কে কেন্দ্র করে মোট ৩৪ টি কক্ষে বিভক্ত। ১৩ একর যায়গা জুড়ে রয়েছে সুবিশাল লেক এবং এবং ভেতর বাড়ীর বাগানে আছে ইতালি থেকে আনা মনোরম সব ভাস্কর্য । বাগানে রয়েছে রাজার নিজ হাতে লাগানো ১৫০ বছরের পুরনো হোয়াট এলামোণ্ডা গাছ।এছাড়া রয়েছে নানান বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ ।তবে এইখানে এলে পর্যটক দের যে গাছটি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে তা হল পারিজাত।যে গাছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আকৃতির ও রঙ্গের পাতা দেখা যায়।বর্তমানে উত্তরা গণভবনটি দেশের সরকার প্রধানের উত্তরাঞ্চলের বাসভবন হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে । প্রতিদিন শত শত দর্শক আসেন আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক অহংকার প্রাচীন নিদর্শনটি দেখতে।
কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সড়ক ও রেলপথে নাটোর যাওয়া যায় ।
বাসে ঢাকা থেকে নাটোর
ঢাকার কল্যানপুর গাবতলী,ও উত্তরা থেকে নাটোর যাওয়ার বেশকিছু বাস রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গ্রীণ লাইন, হানিফ, , শ্যামলি এবং ন্যাশনাল পরিবহন ও দেশ ট্র্যাভেলস । এসব পরিবহণের বাসগুলো নিয়মিতভাবে ঢাকার কল্যানপুর ও গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে নাটোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বাসভেদে জনপ্রতি টিকেটের মূল্য নন-এসি ৩৮০ টাকা এবং এসি ৬০০ টাকা।
ট্রেনে ঢাকা থেকে নাটোর
ঢাকা থেকে সাধারনত রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাটগামী রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো নাটোর স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিয়ে গন্তব্যের পথে এগিয়ে যায়। তাই সময় জেনে এসব ট্রেনে সহজেই নাটোর যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে জনপ্রতি ট্রেনের টিকেটের ভাড়া শোভন: ২৬৫ টাকা, শোভন চেয়ার ৩১৫ টাকা, স্নিগ্ধা ৫২৫ টাকা, এসি ৬৩০ টাকা এবং এসি বার্থ ৯৪০টাকা।
বাসে করে নাটোর গেলে বলবেন নাটোর বাইপাস অথবা পি টি আই মোড় নামিয়ে দিতে ।সেখান থেকে একটি অটো ভাড়া করে এই স্পটে চলে যেতে পারবেন। ভাড়া নিবে ৫০-৬০ টাকা।
রাজবাড়ির সামনে গিয়ে প্রথমেই টিকেট কাটতে হবে। টিকেট মূল্য জনপতি ২০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪;৩০ টা পর্যন্ত উত্তরা গণভবন দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।
কোথায় থাকবেন
নাটোরে মধ্যম মানের কতগুলো আবাসিক হোটেল ও বোডিং রয়েছে।যেমন হোটেল ভি.আই.পি (0771-66097, 01718-673735) ,হোটেল রুখসানায় (0771-62431, 01739-987017)
সিংগেল কেবিন ২৫০ থেকে ৩০০ ও ডাবল কেবিন
৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়ায় রাত্রি যাপন করতে পারবেন।
এছাড়াও যোগাযোগ করতে পারেন
সার্কিট হাউস নাটোর (0771-66932),
নাটোর সদর ডাক বাংলো ও হোটেল প্রিন্স (0771-61356, 01746-029429), নাটোর বোর্ডিং (0771-62001) ও হোটেল রাজ (0771-66660, 01727-371500) কিংবা হোটেল মিল্লাতে।
ইউটিউব ভিডিও লিঙ্কঃ https://youtu.be/4Bt2H1E-mhg
0 মন্তব্যসমূহ