মৈনট ঘাট ভ্রমণ


 

মৈনট ঘাট ভ্রমণ 

মৈনট ঘাট   মূলত পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত দোহার উপজেলার মৈনট ঘাট (Moinot Ghat Dhaka) কে ডাকা হয় মিনি কক্সবাজার নামেঢাকার  খুব কাছে বলে এইখানে দিনে গিয়ে দিনে ফিরত আসা যায়। মৈনট ঘাট জাওার উপযুক্ত সময় হল শীতকাল ।শীতকালে এইখানে একটি চর জেগে উঠে। জেতি দেখতে অনেক সুন্দর। কিন্ত আমার বর্ষাকাল এ ভাল লাগে।কারন বর্ষায় নদী ভরা থাকে ,নদীতে স্রোত ও অনেক বেশি থাকে । আর বৃষ্টি হলে তো  কোন  কথা ই নেই  

মৈনট ঘাট   যাওয়ার উপায়

 

ঢাকার গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজারের সামনে  দিয়ে দোহারগামী অনেক বাস যায় তবে সব বাস দোহারের মৈনট ঘাট পর্যন্ত যায় না যদি আপনাদের  টার্গেট থাকে একসাথে নবাবগঞ্জের জমিদার বাড়ি   এবং দোহারের মৈনট ঘাট টি স্পট একসাথে ভ্রমণ করা অর্থাৎ এক ঢিল এ দুই পাখি মারা তাহলে আপনারা উঠবেন  যমুনা ডিলাক্স পরিবহন এ। কারন  যমুনা ডিলাক্স পরিবহন এর এই বাসটি  নবাবগঞ্জ হয়ে দোহারের মৈনট ঘাট  পজ্জন্ত যায় ।এই বাস এ সিট ভাড়া জনপতি ৯৬  টাকা।  মৈনট ঘাট  পোছাতে   প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে । প্রায় ১.৫ ঘণ্টার মদ্ধেই আপনি পছে যাবেন নবাবগঞ্জ. জজবাড়ি, উকিলবাড়ি, কোকিলপ্যারি দালান, আন্ধার কোঠা, ইছামতি নদী ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখতে পারবেন ।

জমিদার বাড়ি দেখা শেষে  আপনারা  একটি অটো রিসার্ভ করে রওনা দিবেন  মৈনট ঘাট  এর  উদ্ধেসশে। অটো ভাড়া নিবে  ২০০ টাকা এক অটো তে ৮ জন বসা যায়। নবাবগঞ্জ থেকে মৈনট ঘাট  যেতে সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিট মৈনট ঘাট   থেকে শেষ বাস ছেড়ে আসে সন্ধ্যে ৬ টায় । তাই সময়ের বেপারে একটু  খেয়াল রাখবেন। বাস ছাড়া এইখান থেকে ঢাকায় ফেরা অনেক ঝামেলার বিষয় ।

কোথায় থাকবেনঃ

থাকার জন্য মৈনট ঘাটের আশপাশে কোনো হোটেল, রিসোর্ট কিংবা বোর্ডিং এখনো গড়ে উঠেনি আর ঢাকার কাছে হওয়ায় মৈনট ঘাট থেকে দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসাই ভালো

 

কি খাবেন?

 

 

বর্তমানে মৈনট ঘাট   এর মূল আকর্ষণ হল একটি ভাসমান রেস্তোরা যেটি মূলত  পানির উপর ড্রাম দিয়ে নির্মিত। চলুন এই রেস্তোরার খাবারের মেন্যু টি দেখা যাক। এখানে মূলত চাইনিস খাবারগুলি পাওয়া যায় ।খাবারের দাম ও তুলনামুলকভাবে অনেক বেশি।  আপ্নারা যদি ইলিশ মাছ র ভরতা ভাত খেতে চান তাহলে আপ্পানাকে যেতে হবে এইখান কার স্থানীয় হোটেলগুলোতে ।যেখানে আপনারা খুব কম দামে ইলিশ ,ভরতা আর ভাত খেতে পারবেন।

অবশ্যই কার্তিকপুরের রণজিৎ ও নিরঞ্জন মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের নামকরা মিষ্টি খেতে ভুল করবেন না। দেখে নিন কার্তিকপুরের মিষ্টির দরদাম। সাধারণ রসগোল্লা ১৫০ টাকা কেজি। ছানার রসগোল্লা ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি। চমচম ও কালোজাম ১৬০ টাকা কেজি। বালুশা ১৪০ টাকা কেজি। জিলাপি ১০০ টাকা কেজি। রসমালাই ৩০০ টাকা কেজি। দই ১৪০ টাকা কেজি।

কোথায় ঘুরবেন?

 মৈনট ঘাটে পদ্মার বুকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ট্রলার, খেয়া নৌকার পাশাপাশি আছে স্পিড বোটও আট জন চড়ার উপযোগী একটি বোটের ভাড়া ত্রিশ মিটিটের জন্য দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা এছাড়া ছোট বড় নানান আকারের ইঞ্জিন নৌকাও আছে আড়াইশ থেকে ৮শটাকা ঘণ্টায় এসব ইঞ্জিন নৌকায় চার থেকে ২০/২৫ জন একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানো যায়

youtube video link: আরও বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি দেখুন

https://youtu.be/VzviZMT2FEQ

 

ভ্রমণ সতর্কতা

·         এখানে স্রোতের টান প্রচুর তাই সাঁতার না জানলে গোসল করার সময় বেশি পানিতে যাবেন না।

·         মনে রাখবেন এটা কোন সমদ্র সৈকত নয়, কিছু কিছু জায়গায় অনেক গভীর। পানিতে নামার আশেপাশের মানুষদের জিজ্ঞেস করে নিন।

·         সিগারেট অথবা খাবারের প্যাকেট, পানির বোতল অথবা কোন প্রকার ময়লা যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ নষ্ট করবেন না।

·         দোকানি, নৌকাচালক সবার সাথে ভালো ব্যবহার করুন।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ