পদ্ম শাপলা রিসোর্ট
লাল শাপলার রাজ্য , বলছি ঢাকার আসে পাশে নারায়ণ গঞ্জ এর রূপগঞ্জ একটি শাপলার বিলের কথা । ।ঢাকা থেকে মাত্র ১ দিন হাতে সময় নিয়ে মাত্র ৫০০ টাকার মধ্যে ঘুরে আসতে পারেন এই স্পট
যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে ২ টি রাস্তায় আপনারা পদ্ম শাপলা রিসোর্টে আসতে পারেন এর মধ্য সবচেয়ে সহজ রাস্তা হচ্ছে ঢাকা কুড়িল বিশ্ব রোড হতে পূর্বাচল ৩০০ ফিট হয়ে চলাচল কারী BRTC বাস এ করে কাঞ্চন ব্রিজে এসে নামবেন । ভাড়া নিবে ২৫ টাকা। কাঞ্চন ব্রিজে সিএনজি / ব্যাটারি চালিত অটো পাবেন । অটো রিজার্ভ ভাড়া নিবে ২২০ টাকা আর ১ অটোতে ৬ জন বসা যায় ।
আরেকটি সহজ রাস্তা হচ্ছে ঢাকা উত্তরা আব্দুল্লাহপুর হতে লেগুনায়/অটোতে চড়ে উলুখোলায় নামবেন ভাড়া নিবে ৩০ টাকা । উলুখোলা থেকে ২০ টাকা ভাড়া দিয়ে চলে যাবেন জিন্দা পার্ক । এবং জিন্দা পার্ক থেকে পদ্ম শাপলা রিসোর্ট পর্যন্ত অটো রিজার্ভ ভাড়া নিবে ১০০ টাকা ।
কি কি দেখবেন ?
সূর্যের সোনালি আভা শাপলাপাতার ফাঁকে ফাঁকে পানিতে প্রতিফলিত হয়ে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় এই বিলের সৌন্দর্য। নৌকা কিংবা হাঁটুপানি মাড়িয়ে বিলের ভেতর ঢুকলে মনে হবে বাতাসের তালে তালে এপাশ-ওপাশ দুলতে দুলতে হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে শাপলারা। সে হাসিতে বিলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে আনন্দধারা।
তিন ধরনের শাপলা জন্মে এ বিলে লাল, সাদা ও বেগুনি রঙের। তবে লাল শাপলাই বেশি। সাধারণত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিলে শাপলা থাকে। সেখানে বেশ কয়েকটি ছোট নৌকা রয়েছে, চাইলে সেগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারেন ঘণ্টা চুক্তিতে। নৌকা ভাড়া নিবে ঘণ্টা ৩০০ টাকা
কোথায় থাকবেন ?
এই রিসোর্ট কে শাপলা বিল রিসোর্ট বললেও এইখানে কোন থাকার বেবস্থা নেই।অদুর ভবিষ্যতে এইখানে থাকার বেবস্থা হতে ও পারে
কি খাবেন ?
এইখানে একটি হোটেল রয়েছে এটি মূলত রিসোর্ট মালিকের।এইখানে শুধু বাংলা খাবার পাওয়া যায়। যেমনঃ হাসের মাংস ,মুরগির মাংশ,ভরতা,ভাত ইত্যাদি ।
শাপলার এই বিলটির নাম লাউয়াইল। অনেকে আইড়াইল নামে ডেকে থাকে । সাধারণত ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এই বিলে পদ্ম ও শাপলা ফুটতে শুরু করে। স্থানীয়দের বাইরে আগে এই জায়গাটির খোঁজ খুব বেশি মানুষ জানত না। তবে ফেসবুকের কল্যাণে গত দুই–তিন বছর ধরে জায়গাটি খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে।শাপলা দেখতে হলে আপনাকে একদম ভোরে যেতে হবে। রোদ উঠার সাথে সাথে শাপলা ফুল বুঝতে থাকে। তবে পদ্ম ফুল সারাক্ষন ই থাকে। সবজি হিসেবে বাজারে লাল ও সাদা শাপলার চাহিদা থাকলেও জিন্দা, হানকুড়সহ আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা এগুলো তোলেন না। কারণ ‘ফুল ফুটলে কত সুন্দর দেখায়। দূর থেকে কত মানুষ এই সৌন্দর্য দেখতে আসে। তাই গ্রামের মানুষ সাধারণত বিল থেকে শাপলা তোলে না।এইখানে গেলে শাপলা বা পদ্ম ফুল ছেড়া থেকে বিরত থাকুন ।
0 মন্তব্যসমূহ