ব্রাজিল

 

ব্রাজিল


 

আজ আমরা দক্ষিণ আমেরিকার এমন  একটি দেশ সম্পর্কে জানবো যেই দেশটির নাম শুনলে আমাদের সবচেয়ে আগে ফুটবলের কথা মনে পরে। সেই দেশটি সাধারণত ফুটবলের জন্য সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। সেই দেশ থেকে অনেক অনেক ফুটবলের লিজেন্ড বেরিয়েছে যাদের নাম সমস্ত ফুটবল প্রেমিক মনে রাখবে।  

 

হাঁ! আপনি ঠিক ই ধরেছেন , আজ আমরা ব্রাজিল সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য জানবো তা যদি আপনি প্রথম শুনে থাকেন তাহলে অবশ্যই চমকে যাবেন। 

 

ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড়ো দেশ। এই দেশটি আয়তনে পৃথিবীতে পঞ্চম এবং জনসংখ্যার দিক দিয়েও পাঁচ নম্বরে আছে ব্রাজিল। ব্রাজিল  নামটি এসেছে একটি গাছের নাম ব্রাজিলউড থেকে।  বিশাল অরণ্যে ঘেরা এই দেশটির আয়তন প্রায় ,৫১৪,৮৭৭ বর্গকিলোমিটার। দক্ষিণ আমেরিকার  ৪৭% জায়গা জুড়ে ব্রাজিলের অবস্থান। এই দেশটিতে বসবাসকৃত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৯ কোটি।এটি আমেরিকার একমাত্র পর্তুগিজভাষী দেশ, এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ পর্তুগিজভাষী রাষ্ট্র । ইকুয়েডর এবং চিলি ছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার বাকি সবগুলি দেশের সাথে ব্রাজিলের সীমান্ত আছে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্যাথলিক এর বসবাস এই ব্রাজিলে। ব্রাজিলের মোট জনসংখ্যার ৬৫ ভাগ ই ক্যাথলিক।


 

ব্রাজিলের  ইতিহাস

১৫০০ সালে পর্তুগিজ অভিযাত্রী পেদ্রু    আলভারেজ কাবরাউয়ের ব্রাজিলে এসে পৌঁছানোর পর থেকে ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ব্রাজিল ছিলো একটি পর্তুগিজ উপনিবেশ । ১৮২২ সালে ব্রাজিল, পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। প্রাথমিক ভাগে এটি ব্রাজিলীয় সাম্রা জ্য হিসেবে সার্বভৌমত্ব অর্জন করলেও ১৮৮৯ সাল থেকে এটি একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে শাসিত হয়ে আসছে। ১৮২৪ সালে ব্রাজিলের প্রথম সংবিধান পাশ হওয়ার পর থেকে দেশটিতে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সরকার ব্যবস্থা চলে আসছে, যা বর্তমানে কংগ্রেস নামে পরিচিত। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী ব্রাজিল একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র একটি ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট, ২৬টি প্রদেশ  নিয়ে এর যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র গঠিত হয়েছে।

 ব্রাজিলের মুদ্রা নাম ব্রাজিলীয় রিয়াল

অবাক করা কিছু তথ্যঃ

বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো বন  আমাজন এই ব্রাজিলে অবস্থিত। বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো নদী  বেলেন এই ব্রাজিলে অবস্থিত।আমাজন বনের  ভিতর দিয়ে  প্রায় ৯৮৫ মাইল দিরগ এই নদিতি বিসশের শবছেয়ে দিরগ নদি । এই নদীটিকে উন্মুক্ত করতে ব্রাজিল সরকারকে তানা ৫ বসর কাজ করতে হয়ীছিল। এই নদী যে পরিমান জল ধারণ করে তা বিশ্বের অন্যান্য নদী গুলির থেকে অনেক বেশি।  আমাজন নদীর কোনো সেতু নেই।
 
মনে যা হবে তা ভালোর জন্যই হবে। 

পর্যটক দের জন্য ব্রাজিল এক আকর্ষণীয় জায়গা। তাই প্রতি বছর প্রায় ৬ মিলিয়ন পর্যটক ব্রাজিলে ঘুরতে যাই। ব্রাজিলের অর্থনৈতিক অনেকটাই আসে পর্যটকদের থেকে। পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিমান বন্দরের দেশ হলো এই ব্রাজিল। যুক্তরাট্রের পরেই ব্রাজিলের অবস্থান।  ব্রাজিলের রাজধানীর নাম ব্রাজিলিয়া। মজার বিষয় হলো আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে মাত্র ৪১ মাসে এই রাজধানী নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রাজিলিয়া শহরটি পৃথিবীর অন্যতম একটি সুন্দর শহর। এই শহর টি আকাশ থেকে দেখলে মনে হয় একটি পাখির মতো। বিশ্ব ঐতিহ্য ছড়াছড়ি ব্রাজিলে। সপ্তম  আশ্চর্যের একটি christ the redeem er এই ব্রাজিলে অবস্থিত। 

কফি রপ্তানি কারক  দেশ হিসাবে ব্রাজিলের স্থান প্রথম। শুধুমাত্র ২০১৪ সালেই ২৭২ কোটি ৭ লক্ষ ১০ হাজার কিলোগ্রাম কফি রপ্তানি করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে লম্বাকৃতির দেশ হলো এই ব্রাজিল। উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ৪৩৯৫ কিমি লম্বা আর পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রায় ৪৩১৯ কিমি লম্বা। আমাজন জঙ্গল থাকার কারণে বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি দেখা যাই এই ব্রাজিলে।
ব্রাজিলের ভাষাঃ
 
ব্রাজিলে বিভিন্ন ভাষাবাসীর লোক রয়েছে। সেখানে প্রায় ১৮০ টি ভাষায় মানুষ কথা বলে।  ব্রাজিলে ব্রাজিলিয়ান দের ছাড়া সবচেয়ে বেশি জাপানীজদের লক্ষ্য করা যাই।  আমাজন জঙ্গলে অনেক আদিম মানুষ এখনো রয়েছে যাদের সাথে আধুনিক সভ্যতার সম্পর্ক এখনো স্থাপিত হয় নি। ব্রাজিলে একটি বিখ্যাত স্নেক ল্যান্ড রয়েছে যেখানে প্রতি বর্গমিটারে ৫ টি করে সাপ থাকে। সেই জায়গাটি পর্যটকদের জন্য নিষিধ্য করে দিয়েছে সেই দেশের সরকার। 

দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য আদিবাসীদের মতো- ব্রাজিলের আদিবাসীরা সাধারণভাবে রেড ইন্ডিয়ান নামে পরিচিত। দক্ষিণ আমেরিকার বিশাল অংশ জুড়ে এই রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার কারণে, এই দেশে রয়েছে নানা জাতের আদিবাসীরা। ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে পোর্তুগিজ উপনিবেশ শুরু হলে- স্থানীয় আদিবাসীদের সাথে পোর্তুগিজ রক্তের সংমিশ্রণ শুরু হয়। ১৬শ শতকের দিকে ব্রাজিলে কৃষিকাজের জন্য আফ্রিকা থেকে কৃষ্ণাঙ্গ দাস নিয়ে আসা শুরু হয়। ফলে নতুন করে মনুষ্য সঙ্কারায়ণ শুরু হয়। ১৯শ শতকের শেষ দিকে ও ২০শ শতকের গোড়ার দিকে ব্রাজিলে ইতালীয়, জার্মান, স্পেনীয়, আরব, ও জাপানি অভিবাসীরাও বসবাস করা শুরু করে। ফলে ব্রাজিলে মিশ্র জাতিসত্তার সৃষ্টি হয়। তবে এ দেশের মূল সাংস্কৃতিক ধারা পোর্তুগিজ। একই কারণে পোর্তুগিজ ব্রাজিলের প্রধান ভাষা।

 

 ফুটবল এর দেশঃ


 

ব্রাজিলের জাতীয় দলটি তাদের প্রথম খেলাটি খেলে ১৯১৪ সালে। ব্রাজিলের প্রত্যেকটি  শহরে  একটি করে ফুটবল সেয়াদিউম আছে। কারন তারা ফুটবল ক অনেক ভালবাসে

ফুটবল ইতিহাসে সোনালী অতীত রয়েছে ব্রাজিলের ।  ফুটবলের জন্য পরিচিতি পাওয়া এই দেশে অনেক ফুটবল লিজেন্ড রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম পেলে, রোনাল্ডো , রোনালদিনহো , রোমারিও , গারিনচ্চা, কাকা প্রমুখ। ব্রাজিল ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ল্ডকাপ জিতেছে। মোট ৫ বার ( ১৯৫৮, ১৯৬২,১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২ ) এর মধ্যে তিনবারই জিতেছে পেলে। পেলে একমাত্র খেলোয়াড় যে তিনটা বিশ্ব কাপ জিতেছে। ব্রাজিলের হয়ে পেলের ৭৯ টি গোল রয়েছে। ব্রাজিল একমাত্র দেশ যারা সবগুলি ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ এ অংশগ্রহণ করেছে।

 

 

ব্রাজিলে প্রায় ২,৫০০ বিমানবন্দর ও বিমান অবতরণের স্থান রয়েছে যা যুক্তরাষ্ট্রের পর বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। 

 

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ