রাতারগুল(Ratargul swamp Forest)

 রাতারগুল(Ratargul swamp Forest) 



রাতারগুল(Ratargul swamp forest) বাংলাদেশের একমাত্র সোয়াম ফরেস্ট। এটি সিলেট জেলা শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়াইন ঘাট উপজেলায়  অবস্থিত। বনটির আয়তন  প্রায় ৩০৩২৫ একর।এর ৫০৪ একর জায়গায় রয়েছে বন আর বাকি জায়গা ছোট বড় জলাশয়ে পুন্য। রাতারগুল সিলেটের সুন্দরবন নামে খ্যাত। রাতারগুলের এই জলাবন বছরের ৫-৬ মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকে। তখন প্রচুর পযটক আসে এইখানে ঘুরতে।অনেকেই আই বনকে বাংলার আমাজন নামে ডেকে থাকে। বরশায় এখানে থাকে ডালে ডালে পাখি।আবার কিছু বন্য প্রানিও আশ্রয় নেয় গাসের ডালে। শীতকালে এই জলাশয়ে প্রচুর অতিথি পাখির আগমন ঘটে। সাধারণত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই স্পট ঘুরার উপযুক্ত সময়। 

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের বন বিভাগ এই বনের ৫০৪ একর জায়গাকে বন্য প্রাণীর অভয়আস্রম হিশেবে ঘোসনা দেয়।

কিভাবে যাবেন?

ঢাকার গাবতলি,ফকিরাপুল এবং সায়দাবাদ বাস ,   টারমিনাল থেকে সিলেটগামি বাসগুলো ছেড়ে যায়।বাসগুলোর মধ্যে এস আলম,সাউদিয়া, শ্যামলী,গ্রিন লাইন অন্যতম। এসব বাসে এসি বাসের ভাড়া ১০০০-১২০০ টাকা।আর নন এসি বাসের ভাড়া ৪৭০- ৬০০ টাকা।

ঢাকার থেকে ট্রেনে করে সিলেট যেতে কমলাপুর অথবা বিমানবন্দর রেল স্টেশন থেকে উপবন,জয়ন্তিকা, পারাবত,অথবা কালনি একপ্রেস  এ উঠতে পারেন

ঢাকা থেকে খুব দ্রুত যেতে চাইলে আকাশপথে যেতে পারেন।হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ, রিজেন্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার, নভো এয়ার, ইউ এস বাংলা এয়ার।এই এয়ারলাইন্স গুলি এই রুটে নিয়মিত যাতায়াত করে। 


সিলেট থেকে রাতারগুল কিভাবে যাবেন? 

সিলেট থেকে রাতারগুল ২ ভাবে যাওয়া যায়। সিলেট শহর এর পাসে খাদিম চা বাগান ও খাদিম নগর জাতীয় উদ্দানের রাস্তা দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাতারগুল যাওয়া যায়। প্রথমে সি এন জি, অটোরিকশা কিংবা জীপ নিয়ে স্রিংগি ব্রিজ যেতে হবে। সিলেট থেকে সকালে রাতারগুল গিয়ে দিনে দিনে ফিরে আসা যায়।তাই ১২০০-১৫০০ টাকা দিয়ে সারাদিন এর জন্য সি এন জি রিসার্ভ করে নেওয়া ভাল।সারাদিনের জন্য সি এন জি রিসার্ভ নিলে বিছানা কান্দি সহ আরও অনেক স্পট ঘুরে আসতে পারবেন।যদি সিলেটের আম্বরখানা থেকে লোকাল সি এন জি  করে যেতে চান তাহলে স্রিংগি ব্রিজ পর্যন্ত আসতে ১০০ টাকার মত ভাড়া লাগবে।যদি সি এন জি রিসার্ভ করেন সেক্ষেত্রে দামাদামি করে নিবেন। স্রিংগি ব্রিজ থেকে রাতারগুল জংগলে ঢুকার জন্যে জেলেদের ছোট ছোট নৌকা পাবেন।১ টি ছোট নৌকায় ৪ থেকে ৫ জন বসা যায়। এমন নৌকায় ভাড়া নেয় ৮৫০ টাকা।চাইলে লাইফ জেকেট ও ভাড়া নিতে পারেন

আরও একটি পথে রাতারগুল যাওয়া যায়। সিলেট হতে জাফলং গামি গারিতে সারি ঘাট নামতে হবে।সিলেট থেকে সারি ঘাট আসার লোকাল ভাড়া ৪০-৫০ টাকা।সারি ঘাট থেকে সি এন  জি করে প্রথমে আসতে হবে গোয়াইন ঘাট।এইখানে এসে নৌকা ভাড়া করে রাতারগুল যাওয়া যায়। 

মনে রাখা উচিত রাতারগুল এর বনে ঢুকার একমাত্র উপায় হলো জেলেদের নৌকা। এই সমস্ত নৌকায় ৪-৫ জন বসা যায়।

কোথায় থাকবেন?

লালা বাজার এলাকায় ও দরগা রোড এ কম ভাড়ায় অনেক মানসম্মত আবাসিক হোটেল  পাওয়া যায়। যেখানে ৫০০-১০০০ টাকায় বিভিন্ন ধরনের রুম পাবেন।এছাড়া হোটেল হিল টাউন, গুলশান, সুরমা,দরগা গেট,কায়কোবাদ ইত্যাদি হোটেলে থাকতে পারেন।এই হোটেল গুলি মোটামুটি ভাল।

ভাল মানের হোটেল গুলর মধ্যে  আছে হোটেল হলি গেইট,হলি ইন,পানসি ইন,ব্রিটানিয়া হোটেল অন্যতম।এইখানে ভাড়া ২০০০ থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত। 

বিলাসবহুল হোটেলের মধ্যে আছে হোটেল নুরজাহান গ্রানড,রোজ ভিউ হোটেল,নাজিম নগর রিজোট।এইখানে ভাড়া ৮০০০- ৩০০০০   টাকা পর্যন্ত। 

রাতারগুল ভ্রমণের সাবধানতাঃ

বরষায় বন ডুবে যাওয়ার পর সাপ সাধারণত গাছগুলোতে আশ্রয় নেয়।তাই একটু সাবধানে থাকা ভাল।এইখানে জোকের ও উপদ্রব আছে।লাইফ জেকেট অবশ্যই নিজের সাথে রাখবেন। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ